বিজেপি সমর্থক দম্পতিকে মারধোরের অভিযোগ তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে , অভিযোগ দায়ের থানায়

22nd July 2020 9:53 pm বর্ধমান
বিজেপি সমর্থক দম্পতিকে মারধোরের অভিযোগ তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে , অভিযোগ দায়ের থানায়


পার্থ ব‍্যানার্জী ( মেমারী ) :  ড্রেনের ময়লা আবর্জনার স্তুপ পরিষ্কার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে । মারধরের ঘটনায় মেমারি থানায় অভিযোগ দায়েরের পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে । দম্পতির অভিযোগ,  কিছুদিন পূর্বে মেমারি পুরসভার সাফাই কর্মীরা মেমারি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ড্রেন পরিষ্কার করতে শুরু করে । ড্রেনের আবর্জনা ময়লা তুলে তা ড্রেনের পাশে রেখে দিয়ে চলে যায় সাফাই কর্মীরা।  এই নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর রঞ্জিত বাগ কে এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জানানো হয় বারবার । ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানান দম্পতি । উক্ত বিষয় নিয়ে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা আলোচনা করার সময় উপস্থিত হয় প্রাক্তন কাউন্সিলর রঞ্জিত বাগ ও তৃণমূল কর্মী উত্তম দাস ওই জায়গা তদারকি করেন । ওই নোংরা আবর্জনা স্তুপ পরিষ্কার করার কথা ওই দম্পতি সহ এলাকার বাসিন্দারা বারবার বলা শুরু করে ওই প্রাক্তন  কাউন্সিলরকে । উত্তেজিত হয়ে প্রাক্তন কাউন্সিলর রঞ্জিত বাগ ও তৃণমূল কর্মী উত্তম দাস  দুজনে মিলে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সনৎ বিশ্বাস ও দীপিকা বিশ্বাস নামে বিজেপি দম্পতিকে মারধোর করে এবং প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেয় প্রাক্তন কাউন্সিলর দম্পতিকে বলে অভিযোগ । এই মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেমারি ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় । বিজেপি দম্পতিকে মারধর করায় মেমারি থানায় মারধরের ঘটনার কথা সবিস্তার উল্লেখ করে  কাউন্সিলর রঞ্জিত বাগ ও উত্তম দাসের নামে অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি দম্পতি । ঘটনা কে কেন্দ্র করে মেমারি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল বিজেপির তরজা শুরু হয়েছে । ঘটনা সম্পর্কে মেমারী পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি স্বপন বিষয়ীর কাছে  ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বলেন , এলাকার মানুষ বিজেপি র কাজে ক্ষুব্ধ । তারাই মারধোর করেছে বলেই তড়িঘড়ি ফোন কেটে দেন । আর কোন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চাননি তিনি । এই অভিযোগ সম্পর্কে মেমারীর বিধায়িকা নারগিস বেগম বলেন , বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না । খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলেছেন । আপাতত তিনি হোম কোয়ারেন্টিন এ রয়েছেন । এমনটাই নিজেই জানিয়েছেন বিধায়ক। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকেও মেমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপি র বিরুদ্ধে । তাদের কর্মীদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে দাবী । অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা এলাকায় । বিজেপি অহেতুক অপপ্রচার করে কুৎসা রটাচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।